বাক্‌ ১৪৮ ।। শেখ সোহাগ রেহমান

 

হাওয়ামেঘ

 

এসো হে, হরিৎ মৌমাছি

দুঃখবোধের শরীরটা খুলে রেখে বোবা পাখিদের ভাঙা সংলাপে মত্ত হই কিংবা ডুব দিই আরও গভীরে;

যেখানে বিকলাঙ্গ দুঃখের ছায়া কিছুটা বিস্ময়সূচক চিহ্নের মতো সুক্ষ্ম এবং গতিহীন।

 

সুরমাদানির উল্টো দিকে গ্যাছে যে পথ, চলো আমরাও হাঁটি সে পথে।

 

পৃথিবীর বাগান থেকে ঝরে পড়া আঙুর দ্যাখতে, দ্যাখতে

শোকগ্রস্ত ব্যাধির চোখে তুলে রাখি আমাদের গত হওয়া স্বপ্নের যাবতীয় বিভ্রম।

অক্ষরীয় স্নানে মুছে ফ্যালে সমূহ পাপ চলো আমরাও পুড়ে যাই ফের সংযমী কাঠের মতো

 

তরঙ্গের ঢেউখেলানো প্রার্থনা সঙ্গীতের শব্দে ফোটা বহুবিধ রঙ নিয়ে স্বর্গোদ্যান বরাবর বেঁকে গ্যালে পথেদের পথ; আমরা খুলে রাখি আমাদের পাগাঢ় অন্ধকারের মতো উন্মোচিত হলে প্রেম আশ্রয়হীন যুগলের দিকে য্যামন তাকিয়ে থাকে রোদ...

দ্যাখোআমাদের ধাওয়া করতে, করতে উড়ে যায় বধির বৃক্ষের অস্পষ্ট আয়ু;

আমরা তবু অধরাই রয়ে যাই।

 

দুপুরের ঘরবাড়ি

পিপাসার জল

বাতাসচক্রে বিলীন হাওয়ামেঘ

অনিশ্চিত ভ্রমণ

শৈশবজন্মে মৃত হওয়া কাঠবিড়ালি

 

য্যানবোধহীন পাথরে বারবার আমি তোমার নামেই ফুল ফোটাই;

মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মাছের দিকে তাকিয়ে গত জন্মের মূর্খতা ভুলে আঙুলে লিখি মিহিন কান্নামাতাল রাত।

 

সিগারেট থেকে আগুনের ফুলকি বেরিয়ে ঢুকে পড়ে আমার চামড়ায়।

 

প্রিয় রঙ ছাই হয়,

আমিও খোলস ছেড়ে ভেঙে ফ্যালি দ্বিধার চৌকাঠ।

 


No comments:

Post a Comment