স্বপ্ন
দু’চোখ-কচলানো একটি যৌথ গ্রাম
দলবেঁধে চাবুক দোলাচ্ছে জ্যোৎস্নার কাছাকাছি,
আসন্ন ট্রেনের হেডলাইটে
কুমোরের হাত পিছলে পড়েছে
একতাল মাটির গায়ে,
কেবলই জাপটে ধরা হচ্ছে
ঈর্ষান্বিত স্তনের প্রভা
পিঁপড়ের চিমটি মাখা বাতাস বাঁক নিলে
অপ্রস্তুত সন্ধ্যের ভেতর
আমরা একে-একে
প্রিয়তম মুখ হারিয়ে ফেলেছিলাম
আয়না
একদিন সহসা বিষণ্ণ উঠোনের ধারে
ফেনিয়ে ওঠা কৈশোর এবং
নানারকমের সরণি অবেণীবদ্ধ যেন
একছুটের সেই যৌন ঈর্ষাই
বিলাপে ঘিরে রাখবে বর্ষার আধখানা ত্রিপলটিকে,
সাবানের বুদবুদে ছিল
এমন আধো-আলাপচারিতা,
রা-কেটে যাওয়া সপ্তম বসন্তের আহ্লাদ
লক্ষীর গৃহস্থ রোজনামচা মুহূর্তে ফুল-ফুল ডানাস্রোতে
মাথায় ধরল বাজখাঁই ছাতা ,
কোন্ আয়োজনে ছিমছাম পাহাড়ে দাগ কেটে-কেটে
নির্মল কুমকুমে ভ’রে উঠত অবসন্ন
আঙিনা
বিকল্প
একটা অস্থির বিমান এইমাত্র টুঁটি চেপে ধরল রৌদ্রের
বিকল্প প্যারাশ্যুট আর ভাসমান প্যারিস
আমার স্বপ্নে বহুদিন
খিন্ন ভিখিরির গ’লে পড়া নুন ঘরে
আনি
সুরুয়ায় গড়িয়ে দিই পাটভাঙা চাঁদ
এই শালের বিষণ্ণ মর্মর আমাকে স্বপ্নে রেখে দেয়
কাঁচের পিঠ খানখান হয়ে ছড়ায় কলপাড়ে
যেন সহস্রটি ফড়িং তাদের ডানার উমেদারি তুলে নেবে
ঋদ্ধ স্তনের শেষে
তরল কোনও মন ও বিষাদ ছুঁয়ে ফেলে
খুব সুন্দর।
ReplyDeleteস্বপ্নের ভিতর অন্ধকার সরিয়ে সরিয়েএকটা স্বপ্ন যেন গুটিগুটি হাঁটছে।যেখানে এসে পড়ে--"ঈর্ষান্বিত স্তনের প্রভা"।প্রতিটি কৈশোরের সত্যিই একটা আয়না থাকে।ভালো লাগল কবিতাগুলি।
ReplyDeleteএই তিনটি কবিতা পাঠ - যেন এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা!
ReplyDelete