পিছলভুক-১৫
যাদু তো শব্দ জানে
আমি শুধু মনে ও গুল্মনে
খুরপি চালাই
তাছাড়া আলোর বিন্দুগুলি খুব স্পষ্ট নয়
রংমিলান্তি কে কে বা
কার হাতে ক'ফোঁটা ঠিক স্পষ্ট নয়
একার বিজনে তাই
ছেঁড়া এক যোগব্রত তোমায় সেলাই করি
রা কাড়া অন্তরে রুহ-এর বসত
সেলাই করি
তল নিবাসে খুঁটে নেওয়া এইসব
বিন্দু মনসিজ
জ্বলা নেভা শর্তে তোমারই স্তিমিত
দানার এই অন্ন সীবন
একা ডানার শব্দে কতো শত কল্প খাওয়া
ওই উড়ে যায় পাখি
পিছলভুক -১৬
ঠিক কবে মনে নেই।
মনে আছে অস্তের রং ফকিরি
অঞ্জনে ভরে তুলছিল সাঁই ডাক
আর পা'য়ে পা'য়ে
জড়িয়ে যাচ্ছিল গৃহহীন হাওয়া
যেন কবেকার
শান্ত সাঁকো ছিঁড়ে
মুখ ও মুখোশের আয়ু ছিঁড়ে
আমাদের দ্রাবিড় সারাংশ
সখ্য জার্নিতে
বুনে দিচ্ছিল
'হড় খানগে পেড়া'র
গাঁওধারা প্রবাদ
তার জলভরা ছায়া পথভরা ছৌ মনভরা ছাঁচ
মনে আছে মুহূর্তটির
কোহল আঘাত !
পিছলভুক -১৭
ঘটনা হলো চাঁদের আগ্রহে আলো-ছর্রা
ছড়িয়ে পড়েছে
যখন তারিখ কতো কি ভুলে যাচ্ছি
নামেরও কতো কি ভুলে যাচ্ছি
দুটি ছায়া মানুষের
নেশা ও পরেশাঁ
শব্দে ময়ান দিচ্ছে
অর্থাৎ বীজ বোনা হচ্ছে আগামী
ক্ষতস্থানের ।রাতের নিসর্গ থেকে
যার শুরু
বুকের নৈঃশব্দ্যে
যার শেষ
কিম্বা ইহাই গঁদধর্ম
যা জমে উঠছে ফোঁটা ফোঁটা
শব্দের শবে ও স্মৃতিতে
লেপ্টে যাচ্ছে
জীবনবাবুর উঁচু আলো পিস্তল
জীবনবাবুর নীচু ছায়া টার্গেট!
No comments:
Post a Comment