বাক্‌ ১৪৮ ।। রাণা বসু

লিপি



একটা কালো খসখসে পাহাড়

বেয়ে উঠছি

আর একটু উপরে উঠে তাঁবু দেব

ঝরণা থেকে জল ধরতে হবে

একটা ফাঁদ করা আছে

কে পড়বে আজ জানি না

হালকা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে



শরীর থেকে উপরে

আমি বাতাসের স্তর দেখতে পাচ্ছি

একটা গান, একটা গানের সুর দেখে

ফেলেছিলাম বলে আমায় আজ

চা খেতে দেয়া হয়নি



খবর নেওয়ার মত কিচ্ছু পাচ্ছি না।

খবরের কাগজ থেকে

বেরিয়ে আসছে নিভিয়া ক্রীম



আমার সারা গায়ে লোম খাড়া হয়ে উঠছে






সংসার



একটা সোনালী গাছ কিনেছি

পাতাগুলো ধরে রাখব বলে

 নীচে বিছিয়ে রেখেছি পলিথিন

সারাদিন গাছের পাশে বসে থাকি

দু-একটা পাতা পড়ে কখনও বা

হাতে নিয়ে দেখি শিরা উপশিরা,

গায়ের রঙ, লোম 

গাছটার গায়ে জল দিলে

দেখেছি রোদ সাদা হয়ে যায়




বাড়ি



বাড়ি তৈরীর সময় বাবার খেয়াল ছিল না

আমি অপদার্থ।

আমি যত বড় হয়েছি

(ক্রমশ) আমার অপদার্থতা বেড়েছে

আমাদের প্রত্যেক প্রজন্মে

অপদার্থতার পরিমাণ জানতে

দাদুর কাজ নিয়ে খোঁজ করতে গেছিলাম

পাড়ার এক অতি বৃদ্ধ দম্পতি বলল,

 বাবারা পাঁচ ভাই আর তিন বোন ছিল।




সন্তান



তিনটে পেনসিলের টুকরো নিয়ে

বসেছিলাম

কতকগুলো দাগ কাটার পর

রঙ দিয়ে শুরু করলাম খেলা

সেদিন রাতে শুতে যাবার সময়

রঙগুলো দেখতে দেখতে

আমার নিজেকে বাবা বলে মনে হয়েছিল




মাংস 



বুকে ঠোঁট দিয়ে সেদিন

ফেরোমন চেটে নিয়েছিলাম

কেঁচোর মত গুটিয়ে নিয়েছিলে নিজেকে

আজ টি-শার্ট খুলে

বুকের বাঁ দিকে তোমার জিভ ঠেকালে

ক্লান্তিতে হেঁটে হেঁটে বাড়ি এসে পড়েছি

ইঁটগুলো থেকে ভেসে আসছে চুমু খাবার শব্দ

দরজা বন্ধ করা যাবে না আজ

 

 

No comments:

Post a Comment