বৃষ্টি ও প্রত্নবেহুলা
ঘন নিঃশ্বাসের কাছাকাছি সুপারিফুল ঝরে
অথচ, সব একাকার করে দেওয়ার মত ঘুমও সাহসী হয়ে
ওঠে,
বৃষ্টির মোহন অত্যাচার
ছড়িয়ে পড়ে সুষম টুপটাপ।
দেয়ালি পোকারা বয়ে বেড়ায় মেঘ সংক্রান্ত প্রপাগন্ডা
বিকেল লিখতে গিয়ে কাগজ ভর্তি সন্ধ্যা নামছে, দেখ।
ডুপ্লিকেট চাবি ঘুরিয়ে
অন্ধকার মানুষ যেন গাছের শরীর পায়
তখন বেহুলার ভেলা ভাসে,
জলের মাতমে খসে পড়ে অনন্ত বোতাম।
আরও জলের কথা বললে... আরও বৃষ্টি
ভেজা স্যান্ডেলে পাড়াময় কাঞ্চন পাতার পায়চারী, যেন
এই শহর এক ডুবন্ত কানাঘুষা।
ইশারা জনিত
তখনও ধূ ধূ হাঁপানোগুলো ভাঙারির গলায়...
পাচঁ ফোঁড়নের দুপুর পেরিয়ে ভাতঘুমের ধারণা নিয়ে অহেতুক দুলে
উঠে ড্রিমক্যাচার। গতরাত থেকে যেখানে দুঃস্বপ্নের পায়ে পুরোনো ভ্রমণদৃশ্য
প্রতিফলিত হয়ে আছে।
কেউ কেউ ভাবে মানুষের ফুসফুসে জেগে থাকে এক মৌরুসী চালতাবন।
তারও ভিতরে ঘন সন্নিবেশিত সূত্রে খানিকটা
কোবাল্ট-গ্রীন রোদের থেরাপি... আর কিছু আত্মহত্যাপ্রবণ বিকেলের বসবাস।
জলচৌকির ধ্যানে যাবতীয় কার্বোহাইড্রেটের আনুগত্য
শনিবার জখম লুকিয়ে রাখে খরচুনা পাতার ভাঁজে,
উল্টোলেই দেখবে—
আয়নার ব্যবহারিক ফরমেটে তোমার খুলে রাখা ফিগার । শীতপ্রসাধনীর কৌটা থেকে বেরিয়ে আসে নেপালী
যুবকের একজোড়া চোখ। মেঘালয়ের কাছাকাছি মাওলিনং গ্রামের রাস্তায় যে অন্ধত্বের
ডাইমেনশন ছড়িয়ে দেয়।
এসবই তোমার নামের বানানে এক নির্জন উঠান।
আঁতাত অথবা হেমন্ত রঙের প্রাবল্য
যে সমস্ত সমবয়সী উলের গুটি পুরোনো বাড়ির দাগ বয়ে বেড়ায়
তার নামে এক নিরুত্তর রাস্তা,
ভোরের বাজারের মৌনতা।
এমনতর ভোরে খানিকটা শূন্যতা মিশিয়ে...
তুমি অথবা তোমার মত কেউ
তালন্দ বাসস্টপ আঁকার চেষ্টা করছ ।
অতিদূর বনের মলমলি আওয়াজ
ফাঁকা হয়ে আসা গাছের স্মৃতি ধরে রাখে।
আমাদের যা কিছু জমানো ছিল স্নায়ুবিক নামতাপাঠে
সেখানে তুমিও আড়ালের ভান
ঈশ্বরের মত নির্ভেজাল পাথরের ঠাণ্ডায়।
অথচ, এইসব মারফতি রাত বিষয়ক উচ্চারিত শব্দ,
হতে পারত— নিরাময়ের সম্ভাবনা।
পরিত্যক্ত ডাকঘর থেকে আঙুলে উঠে আসা আঠা
পৃথিবীতে এখনও হেমন্ত নামায়।
সন্ধ্যাকালীন জায়নামাযে লেপ্টে থাকা কুয়াশার মিহি আচরণ
দেখ, ব্যক্তিগত গুমোট হাইড করে রাখছে ।
No comments:
Post a Comment