১
কিছু জিপসি সকালের রোদ, জানালার
চাহনি থেকে ছিটকে আসে ত্বকে। ত্বককে উষ্ণতা রক্ষার আয়না মনে করে ছিটকে আসে আর রেখে
যায় পীতরঙ আফসোস
সবসময় পর্দা দিয়ে ঢাকা যায়
না জানালার হুশ। কেননা চোখের সামনে চশমা নাটকে হৃদয়ের সেইসব রিহার্সেল দৃশ্য— শুধু আমাকে,
আমাকেই কেনো কামড়ে কামড়ে অবশ করে ফেলবে?
সবসময় আওয়াজের ব্যাটারি
নষ্টের দোহাই দিতে পারি না। চুপ থাকার পেছনে যে রেডিও চলে—তাতে ডানা
ভাঙা আর ডানা ঝাপটানোর তরঙ্গে ফারাক করা যায় না।
বিভ্রান্ত থাকতে পারি না
কথামতো। রক্তপূর্ণিমারা তো পণ করেনি যে তাদের সব লগ্নে আমি চাঁদের মুখোমুখি
দাঁড়িয়ে গেলেই দেখতে পাবো ছায়ার ব্যালেরিনা!
সবসময় নদী ভাঙনের
জাতিস্মরদের বুঝানো যায় না অর্ধেক ভরাট গ্লাসের তত্ত্ব। তাদের কাছে সেই অর্ধেক
জলের গ্লাসে যেটুকু শূন্য সেটুকু মূলত ওই ফুসে ওঠা নদীই!
কিছু রাস্তা রেটিনায় ফোঁটা
ফোঁটা আইড্রপের মতো ঝরতে ঝরতে জায়গা করে, পরে নেয় আমার পায়ের গতি। হেলতে দুলতে
এক পরীক্ষাহীন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পর বুঝে নেয় যে সেই রাস্তা, এবং পথের মাঝে শুধু পিচঢালা আইওয়াশ টাই রয়ে যায়
ধোলাইয়ের পর চোখের সাফ সাফ
জবাব
৩০শে মার্চ, ২০২১
২
ডান হাতে জড়ো হচ্ছে মগজজাত
ক্লাসিক উগ্রতা—
যেনো শিরা উপশিরার কাঁটাতারের ওপর দিয়ে, ভারী
ভারী পাথর ছুড়ে দিচ্ছে পাশের দেশের টনটন ক্ষ্যাপা সীমান্তরক্ষীরা। প্রথার মুঠোমুঠো
শীত বের করে দিয়েছি ডান হাতের বর্ডার থেকে, বহুত আগেই। রক্ত
পাতলা করা ওষুধের মতো এই ঘাড় ধাক্কা—পাথরের ছোড়াছুড়ি দাঙ্গা
সহজ করে।
বাবু ভাইকে এসব বলে লাভ
হচ্ছে না। তিনি মাইলকে মাইল ভুগোল বিনা পারিশ্রমিকে ঝাড়ু দিচ্ছেন। কমিক কানামাছিতে
কিছু টুইস্ট আনা নীতিবাদের চোখ বাঁধা কাপড়, সেসব বালি থেকে ৯৯.৯% সুরক্ষা দেয়
বলে চোখ কচলাতে কচলাতে ওঁনার প্রিয় নদীর দিকে যাই। এক কবিকে বহুদিন আগেই বলে
রেখেছিলাম, আপনার দেশপ্রেম টিকে গেলেও আমাদের অ্যামবিশাস
ঝাড়ুদারি টিকছে না
নিরুপায়ভাবে বাম হাতে কবিতা
লিখতে গিয়ে বুঝি—
এক মহান প্রেমিক যাদুকরের অডিটোরিয়ামে টুকটাক স্টেজ জড়িত গৌন
দায়িত্বে নিয়োজিত আছি।।।
ডান বাম সার্কাজম
৩
গরমে
এমনভাবে স্নান করো
যেনো জলের অভেদে থেকে
একদিনের জন্য পৃথিবীর
মাছেদের সমস্ত টোপ থেকে আজাদি দেয়া সম্ভব
সম্ভব?
মরমে?
পুরোটাই তো ওয়াটার প্রুফ!
হিট স্ট্রোক ঠেকানো যাবে না
তবে।।
No comments:
Post a Comment