মোহনা মন্থনের ক্রিয়াংশ
১.
চম্পার
মা বিখ্যাত কবিরাজ- শ্মশানের কাছেই তার বাড়ি,
মনের
বাসনা করতে পূরণ- ভক্তবৃন্দের সাথে লাইন ধরি।
আমাকে
তাবিজ দেও- দেও বস করার জাদুটোনা,
চম্পা
বালিকা যেন আমাকে ছাড়া- অন্য কাওকে শোনে না।
চম্পা
বালিকা শিববাড়ি মোড়ে- ফুচকা লাচ্ছি খায়,
রিক্সায়
ঘুরে- অন্যের আদুরে হাত ধরে।
তাবিজে
করেনা কাজ- তবুও চম্পার মা বিখ্যাত কবিরাজ।
তাবিজের
ভরসায় থেকে জমি গেল,
ঘর- ছাড়ি না আশা,
চাঁদ
সওদাগর এর মত একদিন- ফিরে পাব সুন্দর, জানি পরীক্ষার ভাষা।
ভগবানও
তো পরীক্ষা করে ভক্তরে- খেতে না দিয়ে সারায় পেটের অসুখ,
পৃথিবী
দেখুক, তাবিজের জয়- অক্ষয়।
চম্পা
বালিকা গো, তুমি যতই ঘুরো অন্যের আদরে- রিক্সায় চড়ে- হাত ধরে, ততই
আসছো খুব কাছে,
তাবিজের
যে শক্তি আছে- তা তোমারে করবেই জয়,
পাইতে
তোমারে- প্রসাদ মাটিতে জমা করেছি সব সঞ্চয়।
চম্পা
বালিকা বড় বিদুষী,
প্রেমিককে
দিল শোক- বরকে করলো খুশি।
আহা
হা, চম্পার মা, বিখ্যাত কবিরাজ, তাবিজে
করল না কাজ! তবু জনতা শোকে- নিজেরে ঢেলে দিয়ে আসে, দেবতার
ভোগে।
২.
দুর্যোগের
বিকেলে তুমি নিজেকে ভালবেসে- সরে গিয়েছিলে।
আমার
জীবনে সন্ধ্যা নেমে এলো।
প্রার্থনায়-
পরিশ্রমে- রাত গভীর হয়ে সকাল হল ঠিকই, কিন্তু চোখে বন্ধ করলে এখনো, আহত বিকেলটাকে দেখি।
সমস্তকে
ভেঙ্গে চূড়ে গুড়িয়ে দিয়ে চলে গেলে,
ভাবোনি
আরো আরো কঠিন হবে একেলার পথ,
সব
শপথ পরাজিত হল কেন!
কেন
গায়ে জড়ালে মিথ্যার জামা!
পাপে
পূর্ণ আমলনামার বোঝা বইতে কি কষ্ট হচ্ছে? মনে পড়ছে? সমস্ত
ভুলের চাচ্ছো কি ক্ষমা!
একবার
যদি মিথ্যা লেখা হয় পথ- ছেড়া যায় না পথের আমলনামা।
দুর্যোগ
বিকেলে চমৎকার ছেড়ে গেলে- একলা হলে। এতটা একা বাঁচতে পারে কি মন!
জং
ধরে ধরে ধরে রুগ্ন হচ্ছে শরীর, কীভাবে বাঁচাবে স্বার্থপর নিজেকে এখন?
আমাকে
যদি ভাঙবেই ছিল শখ- কেন বাঁচতে শেখালে, ডানা মেলে দেয়া আকাশ দেখালে, বলো- বলো-
ভালবাসি
তাই ক্ষমা করে দেই- বিশ্বাস - হাত ধরো- চলো।
No comments:
Post a Comment