আপা
মা
আমাকে ছেলেবেলায় গল্প শোনাত।
বাবা
আমাকে ছেলেবেলায় গল্প শোনাত।
অথচ
গল্পের কোনো প্রভাব আমার ওপর পড়ল না।
এই
দোষ আপাকে দেব।
আমি
গল্প লিখতে গেলে
অক্ষরগুলো
আমার বোনের মতো
কবিতা
হয়ে সেজেগুজে হেঁটে যায়।
প্রতিদিন
গোসলের পর দুপুরে তাকে সাজতেই হতো।
চাঁদের টুকরো
চাঁদটা
আকাশ থেকে পড়ে যেয়ে কয়েক টুকরো হয়ে গেল।
চাঁদের
টুকরো বলে কথা;
যারা কুড়িয়ে পেল, তারা সব গোপন গেল।
তবুও
কিছু দিন পর মহল্লার লোকেরা জেনে যায়-
এক
টুকরা পেয়েছে আমাদের পাড়ার মল্লিকাদি।
ভাঙা
চাঁদের টুকরোই সে নাকি এখন নিজেকে দেখে।
সে
আর বাড়িতে বাড়িতে আয়না চাইতে আসে না।
ভূ-গোলক
ঝিনুক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বাবা আমাকে স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে এলেন। হেড ম্যাডামের অফিসঘর। বাবা-আমি দাঁড়িয়ে। আমার
মনোযোগ ম্যাডামের টেবিলে রাখা ভূ-গোলকের দিকে। আমি ভূ-গোলকজুড়ে ছুটতে থাকি।
উপরোপ-এশিয়া- অস্ট্রেলিয়া....
কিছুক্ষণ
পর ছাত্রভর্তির ফরমটা বের করে ম্যাডাম বললেন, বয়স কত? বাবা
বললেন, ছয়। আমি একবার বাবা, আর একবার
ম্যাডামের মুখের দিকে তাকাই।
কিছুতেই
বুঝতে পারি না ,
উপরোপ-এশিয়া- অস্ট্রেলিয়া.. সাত মহাদেশ ঘুরে এসে আমার বয়স কিভাবে ছয়
হয়!
No comments:
Post a Comment