বাক্‌ ১৪৮ ।। হিমাদ্রী চৌধুরী

 

কাঠগোলাপের টগবগ খুর

 

এই নদী মৈথুন শেষে উত্থিত ঘন

ঢেউ রোজকার বাজার দরে বদল

হয়ে যায়, সিগারেট পুড়িয়ে ঠোঁট

তবু তো কালো চাঁদ, — কিন্তু যে

হৃদয় শুভ্র সলীল, কালো গোলাপের

কাছাকাছি কয়লার গুদাম যেন

লাল ছুঁয়ে ছুঁয়ে খুঁজে শিশুপ্রেম।

 

ওহে পতিতা আমার সুশ্রী নৈশ ঘোর

সারাক্ষণ, হাড়ের নেক্রোপলিস

তোমাকে দিলাম, দিলাম ক্লান্তির

রজঃস্বলা

 

দর্শন বিমুখ শরীর, ভালো থাকা জুড়ে

সিসিফাস, একদল মহিনের ঘোড়া

দৌড়ায় মাঝি জীবনের ভাসমান চোখে

কাঠগোলাপের টগবগে খুর।

 

 

সরলরাখি

 

 

আকাশ এক সরলরেখা।উপনিষদ হতে পালিয়েছে পাপ।তার কেশ নেই, ছায়ার ভিতর কেশর লুকিয়ে রাখে।

 

রাত হলে ধানী আইলে ঘাসের যৌন হাটে পরকীয়া বসায় শিশির। দমবন্ধ বিমান উড়ে — একচোখে তাকিয়ে গ্রন্থের আলো সনাতন হয়ে যায়।

 

সরলরেখায় মানুষের কোন পাপ নেই, পূণ্য নেই ঈশ্বরের

 

মনে হয় সকল গনিত শেষে সবাই নারী আর তার হাত ভরা রাখির পূর্নিমা।

 

 

সংকুল

 

শহরে কাক, ফিরে যাও বৃষ্টিপাতে

রোদের ছায়ায় বসেছে সাপের খামার

নীল তাদের মনি তুলে দেবো আজ

হরিৎ ছোবলের নিকট

 

মৃত্যু নেবে সব, দায় বিহীন যাত্রার

চাবিছড়া রেখে, আমাদের ত্রাহি

ভঙ্গিমায় ফসলের ঘ্রাণ থাকে না

যেহেতু তাই ঝড়ে কেবলই চিটার

আনাগোনা

 

বাড়িতে জেগে থাকে দরজা, তার

দোহার জানালার কপাট, ঘুমিয়ে

থাকা লখিন্দদের বুকে পাহারায়

বেহুলার শক্ত লাঠির চোখ

 

শহরের কাক, ফিরে যাও বৃষ্টিপাতে

এ জগত সংকুল, হিরন্ময় মিথুন রাশি

খুঁজো অনুকূল হাওয়ায়।

 


1 comment: