অনন্তে শিকারি এক
অনন্তে শিকারি এক চলেছেন মস্ত ভল্ল হাতে
মাড়িয়ে যাচ্ছেন পথে অন্ধকারে কীর্ণ লতাপাতা
কোনও শব্দ কানে এলে মহাকাশে দাঁড়িয়ে পড়েন
আলোর হারপুন ছুড়ে মুহূর্তে করেন ঝোপ সাফ
কোথাও যায় কি দেখা উঁকি মারছে জন্তু মহাশয়
তিনিও হুংকার দিয়ে লাফিয়ে গেলেন তার দিকে
এবং সে নাদ ক্রমে ছড়াল নিঃসীম অষ্ট দিকে
ফেটে যায় নীরবতা, তার টুকরো তুলে নেন হাতে
জিহ্বায় ঘষে তা আরও বিষাক্ত বানান মহাশয়
সজোরে ছোড়েন আর ফালাফালা হয় লতাপাতা
রক্তিমাভ দুটি চোখ অল্প দূরে দেখা যায় সাফ
চকিতে দ্যুতির মতো ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন
জন্তু নয়, একটি গ্রহ, ধাক্কা লেগে নিকটে পড়েন
কয়েকটি বেয়াড়া উল্কা ধেয়ে আসছে সোজা তাঁর দিকে
ঝাঁট দিয়ে ধূমকেতু আবহমণ্ডল করে সাফ
সতর্ক না হলে ধরা পড়বেন যে ব্ল্যাকহোলের হাতে
কোনওক্রমে তাই ঝুলে থাকেন আঁকড়িয়ে লতাপাতা
হামেশা দুলিয়ে দেয় সুরসিক বায়ু মহাশয়
কিছু দূরে ফোঁস করছে হলুদ-বামন মহাশয়
হত্যোদম সুপারনোভা জ্বলে উঠে হাঁপিয়ে পড়েন
পুড়ে যান, ভস্ম থেকে জন্ম নেয় জীব, লতাপাতা
অতঃপর সব কিছু উড়ে চলে শূন্যতার দিকে
আইনশৃঙ্খলার ভার ন্যস্ত আছে গ্র্যাভিটির হাতে
প্রবল ঘূর্ণিতে তার পরিবেশে ধূলিকণা সাফ
অসীম পর্যন্ত কোনও বস্তু নেই, দৃশ্যাবলি
সাফ
কেবল আলোক-রশি দিয়ে বাঁধা স্পেস মহাশয়
অতগুলি আঁধারের বল সামলে রেখেছেন হাতে
জাগলিং করতে গিয়ে টাল খেয়ে উল্টিয়ে পড়েন
শিকারি গড়িয়ে যান অন্তরিক্ষে ঢালুটির দিকে
বিশাল শরীরে ছিঁড়ছে মহাসময়ের লতাপাতা
এখানে প্রকৃতি জুড়ে কনস্টিলেশনের লতাপাতা
বিষুবের অন্যপ্রান্তে কিছুটা অঞ্চল শুধু সাফ
সমস্ত প্রাণিকে যেতে হয় সেই ভয়েডের দিকে
ওখানে অপেক্ষা করছে ক্ষুধাতুর সিংহ মহাশয়
ভোজনের শেষে যেন ঘুমিয়ে না কখনও পড়েন
মস্তকে খাপ্পড় মারে তাঁকে কেউ সময়ের হাতে
তরঙ্গের লতাপাতা, তড়িৎচুম্বকীয় মহাশয়
অণু-পরমাণু সাফ করে নিজে ছড়িয়ে পড়েন
ব্রহ্মাণ্ড-সীমার দিকে…
নৃমুণ্ড উজ্জ্বল তাঁর হাতে
বাহ!
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteঅতুলনীয়।
ReplyDeleteফর্মকে মাথায় রেখেও একটি কবিতাকে কোন উৎকর্ষে স্থাপন করা যেতে পারে, তার সফল উদাহরণ হল এই লেখা।
ReplyDeleteদারুণলাগলো
ReplyDeleteআমি অন্তত একশ্বাসে পড়েছি। কবিতা শেষ তো দমও শেষ...। কবির কী ক্ষমতা!
ReplyDeleteদারুণ লাগল।
কবি, আপনার প্রতি শুভকামনা।