শীৎকার
ইদানীং বৃষ্টি পড়লেই
জানালারা অন্ধ হয়ে যায়
কামিনি ফুলের গন্ধ পা বেয়ে বারান্দায় ওঠে ।
গুপ্ত লুডোবোর্ড খুলে, তির্যক
পুরনো হিশ্ হিশ্
অথচ মা বলত
-হুইশেল বাসি হয়ে গেলে ট্রেনও স্টেশন বদলায়।
মায়ের চিতার আগুনে
পুড়ে গেছে
প্রত্ন-উপশম।
এই অসময়ে, আজকাল বড় বেশি
খিদে পেয়ে যায়,
আমাকে গিলে খায়, দুধ-কলা দিয়ে পোষা
আমারই
পুরনো আমিরা,
বারান্দার কামিনি গন্ধে
শীতঘুম থেকে, জেগে ওঠে ফণা
আথচ
বৃষ্টি পড়লেই,
আমার প্রতিটি জানালা অন্ধ হয়ে যায়।
রসুই
ঘর
অনভ্যাস অভিমান অতৃপ্তি ডিঙিয়ে,
ক্রমশ প্রেমে পড়ে যাই
হলুদের দুপাশে রাখি
কালোজিরের মসৃণ কালো আর জিরের ধূসর
পাঁচ ফোড়নের সমবায় গেরস্থালির পাশে
শুকনো লংকার লাল, জিভ হয়ে ফোটে
মধ্যমণি, ধবল লবণ।
তপ্ত কড়াইয়ে
টগবগ টগবগ
অসিদ্ধ জীবন
আর
চুলার দাউদাউ
বাসনের শব্দেই ক্ষরণ ...
শ্বাস
নেয় শরীরী উৎসব !
দারুণ। দুটোই।
ReplyDelete